১১টি জীবন বদলে দেওয়া হার্ট সার্জারি সম্পন্ন করেছে দুবাই হেলথ

মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যান্ড চ্যারিটি এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে অংশীদারিত্বে দুবাই হেলথ বিভিন্ন বয়সের রোগীদের ১১টি জটিল হৃদরোগ সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ না থাকা রোগীদের সহায়তা করার লক্ষ্যে দুবাই হেলথের জনহিতকর শাখা আল জলিলা ফাউন্ডেশন এই প্রচারণাটি পরিচালনা করছে। পরিষেবাগুলোর মধ্যে দুবাই হেলথ হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ হৃদরোগ ‘সার্জারি এবং ক্যাথেটারাইজেশন’ পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
উদ্যোগটি দুবাই হেলথের 'পেশেন্ট ফার্স্ট' প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল।
এ ছাড়া ‘নবাদত’ প্রচারণার অংশ হিসেবে জন্মগত হৃদরোগ এবং দীর্ঘস্থায়ী হৃদরোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি মানবিক উদ্যোগ।
আল জালিলা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. আমের আল জারুনি বলেন, ‘নবাদাত প্রচারণার মাধ্যমে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম মানবিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব এবং কার্ডিয়াক সার্জারি উদ্যোগের প্রতি তাদের সমর্থনের জন্য আমরা গর্বিত। এই অংশীদারিত্ব দাতব্য ও মানবিক কাজের পরিধি সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টার গুরুত্বকে তুলে ধরে।’
মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম মানবিক ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক সালেহ জাহের আল মাজরুই মন্তব্য করেছেন, ‘নবাদাত’ একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা আমাদের জাতির মধ্যে সহানুভূতির স্থায়ী মূল্যবোধকে তুলে ধরেছে।
মূলত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের সহায়তা করার জন্য ‘নবাদাত’ চালু করা হয়েছিল।’
দুবাই হাসপাতালের কার্ডিওথোরাসিক সার্জারির প্রধান এবং ‘নাবাদাত’ উদ্যোগের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. ওবায়েদ মোহাম্মদ আল জসিম জোর দিয়ে বলেন, ‘দুবাই হেলথ আমাদের চিকিৎসা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এই ধরনের উদ্যোগকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অভিযানের সাফল্য নিশ্চিত করার জন্য আমরা সকল সম্পদ এবং চিকিৎসা দলকে একত্রিত করেছি, ১১টি জীবন রক্ষাকারী অস্ত্রোপচার করেছি, যার ফলে সকল রোগী সম্পূর্ণরূপে সুস্থ হয়ে উঠেছে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দাতব্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বিভিন্ন বয়সের হৃদরোগীদের চিকিৎসার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করেছে।
১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা আল জালিলা শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা পায়, অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের দুবাই হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়।
পরামর্শদাতা কার্ডিওভাসকুলার সার্জন এবং ‘নাবাদাত’ মেডিকেল টিমের নেতা অধ্যাপক জুহাইর আল হেলিস বলেছেন, কিছু জটিলতা এবং দীর্ঘ সময়কাল সত্ত্বেও সকল অস্ত্রোপচার জটিলতা ছাড়াই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রোগীরা স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সক্ষম হয়েছে।
এই রোগীদের মধ্যে আছেন ৩৪ বছর বয়সী একজন নারী, যার শরীরে ছত্রাকজনিত কৃত্রিম ভালভ এবং মহাধমনীর মূলের চারপাশে প্রদাহ ছিল। জটিলতা সত্ত্বেও সফলভাবে তার প্রাকৃতিক ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়।
আরেকটি ঘটনায়, একজন যুবকের হার্টের ভালভ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রশিদ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় দলটি তার পাঁজরের ভাঙা অংশে সফল অস্ত্রপচার করেছে। তৃতীয় রোগী ২৩ বছর বয়সী একজন পুরুষ। তার জন্মগত ট্রাইকাস্পিড ভালভ ত্রুটির চিকিৎসাও সফলভাবে শেষ হয়েছে।
সূত্র : খালিজ টাইমস