পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

পুলিশের ঊর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ডিএমপির সাবেক এক কর্মকর্তাও রয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি তিনটি প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া তিন পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ, বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান ও নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
বরখাস্ত হওয়া এই তিন কর্মকর্তা বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। সাময়িক বরখাস্তকালীন আসাদুজ্জামান সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাপ্য হবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে ওএসডি হিসেবে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা হয়।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার করে ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে সোপর্দ করেন। মো. শহিদুল্লাহকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত বাগেরহাট জেলার সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খানের বিরুদ্ধে ফকিরহাট থানার মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর আদালত তাকে বাগেরহাট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়।
সেহেতু, আবুল হাসনাত খানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন)-এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট নোয়াখালীর সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানার মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। সেহেতু, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নম্বর আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী গত ৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।