বিপিএলের নানা বিতর্কের পরেও এবারের আসরে দর্শক উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টিকিট বিক্রি থেকে রেকর্ড পরিমাণ আয় করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টিকিট বিক্রি থেকে এবার বিসিবি আয় করেছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা।

টুর্নামেন্টের শুরুতে টিকিট বিক্রি নিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও,  এবারের বিপিএলের আয় অন্যান্য সব আসরকে ছাড়িয়ে গেছে।

অনলাইন ও ব্যাংকিং পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে এই বিপ্লব ঘটেছে। মিরপুরের পর চট্টগ্রাম ও সিলেটের মাঠেও দর্শকরা ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। 

মিরপুরে টিকিট না পেয়ে দর্শকদের ক্ষোভ প্রকাশ এবং বিসিবির গেট ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। তবে, ডিজিটাল মাধ্যমের মাধ্যমে টিকিট বিক্রির কারণে আয় বেড়েছে।

এবারের বিপিএলের ৬০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে অনলাইনে, যা সরাসরি বিসিবির কোষাগারে জমা হয়েছে।

ফাইনাল ম্যাচের টিকিটের দাম বাড়ানোর পরও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ছিল। ফাইনালের জন্য ৬ হাজার টিকিট ছিল বিসিবির স্টেকহোল্ডারদের জন্য, বাকি ১৬ হাজার টিকিট অনলাইন, ব্যাংক ও বুথের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। বিসিবি সূত্র মতে, ফাইনাল শেষে টিকিট বিক্রি থেকে আয় ১৩ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

বিপিএলের সপ্তম থেকে দশম আসর পর্যন্ত টিকিট বিক্রি থেকে আয় তেমন ছিল না, গড়ে প্রতি আসরে আয় ছিল প্রায় ৪ কোটি টাকা। সে সময় টিকিট বিক্রির দায়িত্ব বিসিবির হাতে না থাকায় আয় কম হতো বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

এবার বিসিবির পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করে টিকিট বিক্রির উদ্যোগ নেওয়াতেই এমন সাফল্য। টিকিট বিক্রি থেকে আয় বাড়ায় এরই মধ্যে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপের প্রাইজমানি বাড়িয়েছে বিসিবি। দুই কোটির প্রাইজমানি বাড়িয়ে আড়াইকোটি করা হয়েছে এবং এক কোটির প্রাইজমানি বাড়িয়ে করা হয়েছে দেড় কোটি টাকা।