‘নতুনরা অবেহলার শিকার’, গ্র্যামি জিতেই অভিযোগ গায়িকার
অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বছরের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সংগীত পুরস্কার ‘গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’। ‘৬৬তম বার্ষিক গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড’-এর মূল অনুষ্ঠানটি ২ ফেব্রুয়ারি লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপ্টো ডটকম এরেনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বছরজুড়ে সেরা গান, সুর, অ্যালবাম ও সেরা সংগীত তারকাদের সম্মানিত করা হল আয়োজনটির মধ্য দিয়ে।
এ বছর শ্রেষ্ঠ অ্যালবামের পুরস্কার ঘরে তুলেছেন বিয়ন্সে।
‘অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছেন গায়িকা। ‘নট লাইক আস’-এর জন্য জিতেছেন ‘রেকর্ড অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জিতেছেন কেনড্রিক লামার। মোট ৫টি পুরস্কার ঘরে তুলেছেন এ গায়ক। এছাড়া ২০২৪ সালের সেরা নতুন শিল্পী হিসেবে গ্র্যামি জেতেন চ্যাপেল রোয়ান।
প্রথমবারের মতো গ্র্যামি জয়ে নতুন সংগীতশিল্পীদের পক্ষে গ্র্যামির মঞ্চে কথা বললেন চ্যাপেল রোয়ান। নিজের বক্তব্য দিতে গিয়ে তার সঙ্গে মনোনয়ন পাওয়া সহকর্মীদের ধন্যবাদ জানান গায়িকা। তার ক্যারিয়ারে যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরপর তিনি একটি নোটবুক হাতে নিয়ে উঠতি শিল্পীদের প্রতি অবিচারের বিষয়টি তুলে ধরেন।
রোয়ান বলেন, ‘যদি আমি কখনো গ্র্যামি জিতি এবং সংগীতের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি তাহলেও আমি দাবি করব, নতুনরা অবেহলার শিকার। তাদের দিয়ে যারা কোটি কোটি ডলার আয় করছে তারা শিল্পীদের জন্য একটি জীবনযাপনযোগ্য মজুরির ব্যবস্থা করছেন না। তাদের উচিত শিল্পীদের সব প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়া। তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।’
রোয়ান তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান, তিনি যখন একজন কিশোরী হিসেবে একটি মিউজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন তখন তার কোনো কাজের অভিজ্ঞতা ছিল না।
স্বাস্থ্যসেবার সুবিধাও ছিল না। প্যানডেমিকের সময়ে চাকরি খুঁজতে গিয়েও তিনি সাহায্য পাননি। রোয়ান বলেন, ‘আমার শিল্পের প্রতি এতটাই আনুগত্য ছিল বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আমি প্রতিদানে দেখেছি অবহেলা ও অনাদর। আমাকে সমর্থন করার কেউ ছিল না ইন্ডাস্ট্রিতে। আমি একেবারেই হতাশ ছিলাম। গান করার স্বপ্নের প্রতি নত হয়ে পড়েছিলাম। লেবেলগুলো বলে যে তারা আমাদের পাশে আছে। কিন্তু আমরা দেখি আসলে তারা নতুনদের পাশে নেই। থাকে কি?’
রোয়ানের এই বক্তব্যে উপস্থিত সবাই দারুণভাবে সমর্থন করেন হাততালিতে। এসময় সাবরিনা কার্পেন্টনারকে আবেগাপ্লুত দেখা যায়।
গত মাসে লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের কারণে গ্র্যামির আয়োজনই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়েই হয় অনুষ্ঠান। তবে গ্র্যামিতে দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের উৎসর্গ করে ছিল ‘আ লাভ এল এ’ শিরোনামের পারফরম্যান্স। দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের উৎসর্গ করে লেডি গাগা ও ব্রুনো মার্সের পরিবেশনাও ছিল। গত বছরের নভেম্বরে প্রয়াত সংগীত প্রযোজক কুইন্সি জোন্সকে উৎসর্গ করে ছিল আরও একটি বিশেষ পরিবেশনা।
পুরস্কার বিতরণের পাশাপাশি এ বছর গানে গানে গ্র্যামির মঞ্চে ঝড় তোলেন শাকিরা। ঝড় তুলেছেন বিলি আইলিশ, সাবরিনা কার্পেন্টার, ছিল দ্য উইকেন্ডের পারফরম্যান্স। টানা পঞ্চমবারের মতো গ্র্যামি সঞ্চালনা করেন কমেডিয়ান ট্রেভর নোয়া।