img

গত বছর ছিল চীনে রেকর্ড করা উষ্ণতম বছর। দেশটির আবহাওয়া সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। কারণ বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তীব্র আবহাওয়ার ঘটনা বাড়ছে।

বিশ্বে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশগুলোর মধ্যে চীন শীর্ষস্থানীয়।

 

এই গ্যাস বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অন্যতম কারণ বলে বৈজ্ঞানিকরা বলছেন। তবে বেইজিং প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে তা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হবে।

 

চীনের আবহাওয়া প্রশাসন বুধবার রাতে তাদের সংবাদবিষয়ক ওয়েবসাইটে জানায়, দেশটিতে ২০২৪ সালের গড় জাতীয় তাপমাত্রা ছিল ১০.৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গড় তাপমাত্রার চেয়ে ১.০৩ ডিগ্রি বেশি। পূর্ণাঙ্গ রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সাল উষ্ণতম বছর ছিল বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

 

 

প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত শীর্ষ চারটি উষ্ণতম বছর ছিল সর্বশেষ চার বছর। পাশাপাশি ১৯৬১ সালের পর থেকে শীর্ষ ১০টি উষ্ণতম বছরও একবিংশ শতাব্দীতে রেকর্ড করা হয়েছে।

জাতিসংঘ সোমবার বছরের শেষ বার্তায় জানিয়েছিল, ২০২৪ সাল বিশ্বব্যাপী রেকর্ড করা উষ্ণতম বছর হিসেবে চিহ্নিত হবে। পরে বুধবার ভারত জানায়, ২০২৪ সাল ছিল ১৯০১ সালের পর তাদের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর।

 

পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো বৃহস্পতিবার জানায়, এটি ছিল তাদের দ্বিতীয় উষ্ণতম বছর।

 

এদিকে বিশ্বজুড়ে ২০২৪ সালে স্পেন ও কেনিয়ায় প্রাণঘাতী বন্যা, যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইনে একাধিক তীব্র ঝড় এবং দক্ষিণ আমেরিকায় তীব্র খরা ও দাবানল হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে গত বছর ৩১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে সুইস রি নামের জুরিখভিত্তিক একটি বীমা কম্পানি জানিয়েছে।

২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য ছিল, শিল্পায়ন পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা এবং সম্ভব হলে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করা। তবে গত নভেম্বরে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, জানুয়ারি-সেপ্টেম্বরের মধ্যে পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা শিল্পায়ন পূর্ববর্তী গড়ের (১৮৫০-১৯০০) চেয়ে ১.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

 

 

সূত্র : এএফপি

এই বিভাগের আরও খবর