img

ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের একটি ক্ষেপণাস্ত্র রবিবার ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে আঘাত করেছে। এ সময় সেখানকার বাসিন্ধারা আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে শুরু করে। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। তবে প্রায় এক বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট আঞ্চলিক উত্তেজনা আবারও বাড়িয়ে তুলেছে।

 

ঘটনার পর এএফপি ফটোগ্রাফাররা লোদ এলাকার কাছে দমকলকর্মীদের ঝোপঝাড়ে আগুন নেভাতে দেখেছেন এবং মোদিন এলাকার একটি ট্রেন স্টেশনে ভাঙা কাচ লক্ষ্য করেছেন। জায়গাগুলো ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিব থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইতিমধ্যে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা মধ্যপ্রাচ্যের ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে রয়েছে, যারা ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সংঘর্ষে জড়িয়েছে।

 

হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ‘বিদ্রোহীরা তেল আবিবের আশপাশে জাফা এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যা তার লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছতে সফল হয়েছে। শত্রুর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এটিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছে।’

অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পূর্ব দিক থেকে মধ্য ইসরায়েলে প্রবেশ করেতে দেখা গেছে। পরে সেটি একটি খোলা জায়গায় পড়ে।

এতে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করার আগে সাইরেন বাজানো হয়েছিল। তবে একটি প্যারামেডিক সার্ভিস জানিয়েছে, সাইরেন বাজানোর পর আশ্রয়স্থলে যাওয়ার পথে বেশ কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছে।

 

এর আগে জুলাই মাসে হুতিরা একটি ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছিল, যা ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষাকে অতিক্রম করেছিল।

ইয়েমেন থেকে কমপক্ষে এক হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরে সেই হামলায় তেল আবিবে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিল।

 

ইয়েমেনের হুতিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো আক্রমণকে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা বলে অভিহিত করে থাকে। এ বিদ্রোহীরা ‘প্রতিরোধের অক্ষের’ অংশ, যার মধ্যে ইরাক, সিরিয়া ও লেবাননের তেহরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীও রয়েছে।

সূত্র : এএফপি

এই বিভাগের আরও খবর