img

গতকাল ফাঁস হয়েছে ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট। ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু শিল্পী এই গ্রুপটি চালিয়েছেন

সেখান থেকেই আসতো নানা নির্দেশনা। বিভিন্ন জনের নামের তালিকাও দেয়া হতো গ্রুপে।একাত্তরে জন্ম নিলে এরা রাজাকারের দায়িত্ব পালন করতো। ফলে এদের এ যুগের রাজাকার বলতে পারেন। নিশ্চয়ই এদের বিচার হবে গণহত্যায় সমর্থন এবং উসকানি দেওয়ার অপরাধে।’

এই নির্মাতা আরও লিখেছেন, ‘কিন্তু আশার দিকটা আপনাদের বলি।দেখবেন এই গ্রুপের বেশিরভাগই আসলে কোনো শিল্পচর্চার সঙ্গে সেই অর্থে জড়িত না। আমাদের মেইনস্ট্রিম (মানে টেলিভিশন, ওটিটি, এবং ফিল্মে যারা প্রধান শিল্পী; তথাকথিত এফডিসি বোঝানো হয়নি মেইনস্ট্রিম শব্দটা দিয়ে) অভিনয় শিল্পী বা ফিল্মমেকারদের কেউই এদের সঙ্গে নাই। এরাই আমাদের প্রেজেন্ট অ্যান্ড ফিউচার।’

 

এর আগে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আরেক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘সহকর্মী এবং ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটগুলো উল্লেখ করে যে, তারা অত্যাচারীর সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল এবং আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলেছিল। অত্যাচারী থাকলে তারা হয়তো আমার এবং তিশার কোনো না কোনো ক্ষতি করতো।সরকারের উচিত হবে ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটগুলো খতিয়ে দেখা। ১৪৬টি স্ক্রিনশট পাওয়া গেছে। এই আন্দোলনের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানি দিয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা উচিত।’

সেই গ্রুপের বেশ কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।তিনি লিখেছেন, ‘এটা নিশ্চয়ই বেদনার যে আমাদের দেশে শিল্পীর সাইনবোর্ড নিয়ে এমন লোকজন ঘুরে বেড়াতো যারা গণহত্যায় প্রত্যক্ষ উসকানিদাতা অথবা কেউ কেউ নীরব সমর্থক ছিল। এরা শুধু শিল্পী হিসেবে না, মানুষ হিসেবেও নীচু প্রকৃতির।

এই বিভাগের আরও খবর